অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে বিজয় উদযাপন করেছেন মরক্কোর খেলোয়াড়রা।
গতকাল (মঙ্গলবার) নক আউট পর্বে স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে দেয় মরক্কো। এতে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে দলটি। ঐতিহাসিক বিজয়কে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পক্ষে দাঁড়ানোর উপলক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছেন মরক্কোর খেলোয়াড়রা।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায়, বিজয়ের পর মরক্কোর অনেক খেলোয়াড় তাদের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি পতাকা তুলে ধরে। তারা এমনকি ম্যাচের পর তোলা গ্রুপ ছবিতেও ফিলিস্তিনি পতাকা দোলায়।
ঐতিহাসিক জয়ের পর মরক্কোর খেলোয়াড়টা সিজদায় লুটিয়ে পড়েন
মরক্কোর স্ট্রাইকার আবদুল রাজ্জাক হামদাল্লাহ ফিলিস্তিনি পতাকা বহন করেন, স্টেডিয়ামে ফ্যানদের সামনে তা প্রদর্শন করেন।
চলতি বিশ্বকাপে মরক্কোর এমন কাজ এই প্রথম নয়। এর আগে গ্রুপ পর্বে কানাডার বিপক্ষে জয় পাওয়ার পর ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে উদযাপন করে মরক্কো।
এদিকে, মরক্কোর এই ঐতিহাসিক জয়ে গাজা, পশ্চিমতীরসহ গোটা ফিলিস্তিনে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে।
গাজায় উল্লাস
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারের সঙ্গে ইসরাইলের কূটনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। বরং রাষ্ট্রীয় মর্যাদার জন্য ফিলিস্তিনকে কয়েক দশক ধরে সমর্থন দিয়ে আসছে কাতার। কাতারে প্রায় আড়াই লাখ ফিলিস্তিনি বাস করেন।
তবে ফিফার আইনে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যানার, পতাকা বা আপত্তিকর অথবা বৈষম্যমূলক প্রকৃতির কোনো কিছু মাঠে প্রদর্শন নিষিদ্ধ। ফলে এর আগে ফিলিস্তিনের পতাকা প্রদর্শনের জন্য মরক্কোর বিরুদ্ধে জরিমানা জারি করে ফিফা। এবারও জরিমানা গুণতে হতে পারে আশরাফ হাকিমিদের।
এই আসরে ফিলিস্তিন না থাকলেও তাদের জাতীয় পতাকা পুরো ইভেন্টে ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে।
মরক্কো, তিউনিসিয়াসহ বিভিন্ন আরব দেশের ফ্যানরা ফিলিস্তিনি পতাকা প্রদর্শন করছে, কাঁধে ফিলিস্তিনি শাল পরছে। তারা ফিলিস্তিনি অধিকারের প্রতি পুরো বিশ্বকাপজুড়ে সংহতি প্রকাশ করছে। তারা দোহার হটস্পট ও টুরিস্ট গন্তব্যগুলোতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনসূচক স্লোগান দিচ্ছে। ঐতিহাসিক সুক ওয়াকিফে ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’ শব্দগুলো শোভা পাচ্ছে।
Leave a Reply